ইরানে চলমান হিজাববিরোধী বিক্ষোভের মধ্যে এবার দেশটির নৈতিকতা পুলিশশের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাজ্য। সোমবার (১০ই অক্টোবর) বৃটেন সরকারের এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানা গেছে। খবর বার্তা সংস্থা রয়টার্সের।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ইরানে নারীদের নিয়ন্ত্রণ, আটক ও সহিংসতায় ব্যবহারের অভিযোগে নৈতিকতা পুলিশ প্রধান মোহাম্মদ রোস্তামি চেশমেহ গাচি এবং তেহরান বিভাগের প্রধান হাজ আহমেদ মির্জাইসহ পাঁচ কর্মকর্তার ওপর যুক্তরাজ্যের এই নিষেধাজ্ঞা।
এতে আরো বলা হয়, নিষেধাজ্ঞায় পড়া ব্যক্তিরা যুক্তরাজ্য ভ্রমণ করতে পারবেন না। সেই সঙ্গে যুক্তরাজ্যে থাকা তাদের সব সম্পদ বাজেয়াপ্ত করা হবে। ইরানকে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন মানার প্রতি উৎসাহিত করতে যুক্তরাজ্যের এই নিষেধাজ্ঞা বলে মনে করছেন অনেকে।
যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র সচিব জেমস ক্লিভারলি বলেছেন, ‘এই নিষেধাজ্ঞার ফলে ইরান কর্তৃপক্ষকে একটি স্পষ্ট বার্তা দেয়া হয়েছে। সাধারণ মানুষ ও নারীদের ওপর যে নিপীড়ন এবং মর্মান্তিক সহিংসতা চালিয়েছেন তার জন্য আপনাদের জবাবদিহি করতে হবে।’
পুলিশি হেফাজতে কুর্দি তরুণী মাহসা আমিনির মৃত্যুর প্রতিবাদে চতুর্থ সপ্তাহেও রীতিমতো রণাঙ্গন ইরান। রোববার (৯ই অক্টোবর) পর্যন্ত ১৮৫ জন নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে মানবাধিকার সংগঠন ইরান হিউম্যান রাইটস। নিহতদের মধ্যে ১৯ শিশুও রয়েছে।
‘সঠিকভাবে’ হিজাব না পরার কারণে মাহসা আমিনি নামে ২২ বছর বয়সী এক তরুণীকে গ্রেফতার করে ইরানের নৈতিক পুলিশ। এরপর ওই তরুণী অসুস্থ হয়ে কোমায় চলে গেলে তাকে ‘মারধরের’ অভিযোগ ওঠে পুলিশের বিরুদ্ধে। গত ১৬ সেপ্টেম্বর মারা যান মাহসা।